কলকাতা- জনবসতি সব মিলিয়ে পাঁচ হাজার। ব্রাজিলের এক অখ্যাত গ্রামের প্রায় সবাই ভুগছে এক বিরল স্নায়ু রোগে। জন্মের পরেই বাচ্চার দুর্বল হয়ে পড়ে। রোগটির নাম স্পোয়ান সিনড্রোম। সবচেয়ে বড় আশ্চর্যের বিষয় গ্রামটির বহু মানুষ একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। অর্থাৎ তাঁদের রক্তের সম্পর্ক রয়েছে।
স্পোয়ান সিনড্রোম তখনই ঘটে যখন বাবা-মা উভয়েই পরিবর্তিত জিন বহন করে। ২০১০ সালে জিন বিশেষজ্ঞ এবং জীববিজ্ঞানী সিলভানা স্যান্টোস ব্রাজিলের সেরিনহা ডস পিন্টোস গ্রামে রোগটি খুঁজে পান। ২০ বছর আগে পর্যন্ত গ্রামের কেউ জানতেন না কেন তাঁদের গ্রামের সকলের মধ্যে এই দুর্বলতা। সিলভানা তাঁর গবেষণাতে আরও দেখেন গ্রামটির ৩০ শতাংশ মানুষের একে অপরের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক রয়েছে।
বহু দিন ধরেই গ্রামের মানুষ এই রোগের কারণ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। বাচ্চারা ছোট থেকেই ঠিক মতো হাঁটতে পারছে না। ধীরে ধীরে হাঁটারা ক্ষমতাই হারিয়ে ফেলছে। হুইলচেয়ার হয়ে উঠছে সবসময়ের সঙ্গী। স্যান্টোসকে প্রথমে তাঁর ব্রাজিলিয় প্রতিবেশীরা এই এলাকাটি পরিদর্শনের জন্য অনুরোধ করেছিলেন। প্রতিবেশীদের অনেকেই সেরিনার বাসিন্দা এবং তাঁদের পরিবারে মধ্যেই বিবাহিত। তাঁরা বলেছিলেন, তাঁদের গ্রামের অনেকেই হাঁটতে পারেন না এবং কেউই জানেন না এর কারণ কী। স্যান্টোসের মতে, ব্রাজিলের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এই শহরে খুড়তুতো ভাইবোনদের মধ্যে আন্তঃবিবাহ খুবই সাধারণ বিষয়।