কলকাতা-ভেস্তে গেল বাস মালিক সংগঠন এবং পরিবহণ দপ্তর ও পুলিশের বৈঠক। ৭২ ঘণ্টার বাস ধর্মঘটে অনড় বাস মালিক সংগঠনগুলি। বৈঠকে বাস মালিকদের দাবিগুলি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানাতে পারেনি পুলিশ ও পরিবহণ দপ্তরের কর্তারা। আর এতেই ভেস্তে যায় বৈঠক। বাস মালিকদের সংগঠনের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে।
ভাড়া বৃদ্ধি, পুরনো বাসগুলিকে অতিরিক্ত দু’বছর চলতে দেওয়া-সহ একগুচ্ছ দাবিতে ২২ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত বাস ধর্মঘটের ডাক দেয় বেসরকারি বাসমালিক সংগঠনগুলি। যাত্রী হয়রানির কথা ভেবে ধর্মঘট তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল পরিবহণ দফতরর। সোমবার বেশ কয়েকটি বাস মালিক সংগঠনকে নিয়ে বৈঠকে বসে পরিবহণ দপ্তর। কিন্তু সেই বৈঠক ভেস্তে যায়। এরপরই মঙ্গলবার ফের বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়।
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট, বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি, ইন্টার অ্যান্ড ইন্টার রিজিয়ন বাস অ্যাসোসিয়েশন এই পাঁচটি সংগঠনের তরফে তিন দিন বাস ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।
২০১৮ সালের পর আর বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়নি। এদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। ফলে ভাড়া না বাড়ালে বাস চালানো সম্ভব নয়। এটাই ছিল বাসমালিক সংগঠনগুলির দাবি। ১৫ বছরের পুরনো বাসগুলিকে আরও দু’বছর চলাচলের অনুমতি চাওয়া হয়। যেখানে সেখানে বিনা কারণে পুলিশি জুলুমবাজি বন্ধের দাবি জানানো হয়। তবে সেসব দাবি নিয়ে কোনও প্রতিশ্রুতি তারা পাননি। ফলে বাস ধর্মঘট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর তাতে যাত্রী হয়রানির আশঙ্কা রয়েছে টানা তিনদিন।