কলকাতা – দেশের প্রথম আধার কার্ড তাঁর! আপনি আধারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কোনও নথির সঙ্গে সুবিধা, স্বীকৃতি এবং সুযোগও মিলবে বলে আশা করা যায়। কিন্তু রঞ্জনা সোনাওয়ান, যিনি প্রথম ভারতীয় যিনি আধার কার্ড পেয়েছেন, তাঁর ব্যাপার আলাদা। এখনও সরকারি প্রকল্প থেকে কোনও সুবিধা পাননি।
মহারাষ্ট্রের নন্দুরবার জেলার টেম্বলি গ্রামের রঞ্জনা। বয়স ৫৪ বছর। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ সালে দেশের প্রথম আধার কার্ডধারী তিনি। আশা করেছিলেন, এই পরিচয় উন্নয়নমূলক প্রকল্প, কল্যাণমূলক সুবিধা এবং সামাজিক সহায়তার দরজা খুলে দেবে। দুর্ভাগ্যবশত, এর কিছুই ঘটেনি।
যে প্রধান প্রকল্পগুলির সুবিধা তাঁর পাওয়া উচিৎ তার মধ্যে অন্যতম হল লাড়কি বহিন যোজনা। যেখানে ২১ থেকে ৬৫ বছর বয়সী মহিলাদের মাসিক ১,৫০০ টাকা সহায়তা প্রদান করে থাকে রাজ্য সরকার। তবে, রঞ্জনা এখনও একটি কিস্তির টাকাও পাননি।
তাঁর আধার অন্য কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক করা আছে বলে জানা গিয়েছে। আধার নম্বরের এই ভুল লিঙ্কের অর্থ হল ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার (DBT) এর অধীনে স্থানান্তরিত কোনও প্রকল্পের কোনও সুবিধাই তাঁর কাছে পৌঁছবে না।
রঞ্জনার স্বামী বাচ্চাদের খেলনা বিক্রি করেন। রঞ্জনা নিজেও দিনমজুরের কাজ করেন। বার্ষিক আয় মাত্র ৪০ হাজার টাকা। তিন ছেলের মধ্যে একজন কাজ করেন। বাকি দু’জন এখনও পড়াশোনা করছে।
রঞ্জনা এই বছরই অন্তত সাতবার তালুক অফিসে গিয়ে আধার সঠিকভাবে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত করার চেষ্টা করেছেন। ব্যাঙ্কের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁর আধার নম্বরটি একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত। সম্ভবত কোনও জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের সঙ্গে। এর ফলে ডিবিটি-তে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ এবং ব্যাঙ্কের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা সত্ত্বেও, তাঁকে সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যাঙ্কের মুম্বই শাখায় যেতে বলা হয়েছে। যার খরচ তাঁর পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়।