মালদায় ঘরছাড়া মানুষদের সঙ্গে দেখা করতে গেল মানবাধিকার কমিশন! তৃণমূল বলছে, বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা

মালদা- মালদায় ঘরছাড়াদের সঙ্গে কথা বলতে পৌঁছে গেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি। শুক্রবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে মালদায় নেমে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দল সোজা চলে যায় কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের পারলালপুরে। সেখানেই একটি শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে হিংসার জেরে ঘরছাড়া বাসিন্দারা। এদিন তাদের সঙ্গে কথা বলেন মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। জানা গেছে, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ হিংসায় ঘরছাড়া হয়ে মালদায় এখনও রয়েছেন কয়েকশো জন। তাঁরা কমিশনের কাছে তুলে ধরেন কীভাবে ওয়াকফ বিক্ষোভের নামে তাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।

যদিও মানবাধিকার কমিশনের এই পরিদর্শনকে রাজ্যকে বদনাম করার চেষ্টা বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি জানান, প্রশাসন ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তা সত্ত্বেও রাজ্যকে বদনাম করতেই সব সময় পশ্চিমবঙ্গে কমিশন পাঠানো হয়ে থাকে। এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যই আছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রথমে মণিপুর যাওয়া উচিত ছিল বলে জানান তিনি।

মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভের জেরে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল ১১ এপ্রিল থেকে। জঙ্গিপুর, সুতি, ধুলিয়ান, সামশেরগঞ্জের মতো এলাকায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ভাঙচুর করে বহু বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। মৃত্যু হয় ৩ জনের। সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন স্থানীয়রা। পরে আদালতের নির্দেশে এলাকায় আধাসামরিক বাহিনী নামানো হয়। পুলিশও সক্রিয় হয়। এরপরই হিংসা নিয়ন্ত্রণে আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *