কলকাতা- আরজি কর হাসপাতালের ধর্ষণ করে খুন হন তরুণী চিকিৎসক। সেই মৃত্যুর ঘটনায় এখনও মেলেনি বহু প্রশ্নের উত্তর। শিয়ালদহ আদালতের রায়ে ইতিমধ্যেই ঘটনায় মূল অপরাধী সঞ্জয় রাইয়ের আমৃত্যু কারাবাস হয়েছে। তার পরও একাধিক বিষয় সামনে আসছে। অভয়ার খুনের ঘটনায় অনেক প্রশ্নের উত্তর নেই। বুধবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই-এর থেকে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।
আদালতে ইতিমধ্যেই তৃতীয় স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। নতুন করে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে ১২ জনের। তবুও বহু প্রশ্নের উত্তর অধরা। হাসপাতালের আরও কিছু জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। নতুন তিন জনের কল ডিটেলস খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এই কিছুর পরও বেশকিছু প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
প্রথমত, সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী ঘটনার সময় ছিল ৪টে ৩ মিনিট থেকে ৪টে ৩৮ মিনিট। কিন্তু যে আঘাতের চিহ্নগুলি পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি আদৌ কি ওই সময়ের? দ্বিতীয়ত, কেন ঘটনার পর সেমিনার রুমের পাশের দেওয়াল ভাঙা হল? যেখানে হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে, সেখানে কীভাবে তড়িঘড়ি দেওয়াল ভাঙার কাজ শুরু হল? তৃতীয়ত, একজন ব্যক্তি সেমিনার রুমে প্রবেশ করল, আবার বেরিয়ে এল, অথচ কারুর নজরে পড়ল না? চতুর্থত একজনের পক্ষে কি এই কাজ করা সম্ভব? তাহলে কি অভয়া বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেনি?
এদিন আরজি কর মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, ‘নিম্ন আদালতে বিচার চলেছে, এটা অস্বীকার করা যায় না। ট্রায়াল কোর্টে চার্জ ফ্রেম হয়েছে। একজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। চার্জ গঠনের সময় ভাষা কী ছিল তা জানা নেই। তাই পুনরায় তদন্তের জন্য তথ্য দরকার। সে ক্ষেত্রেই সিবিআই রিপোর্ট দেবে উচ্চ আদালতে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৬ মে।’