কলকাতা- বাংলায় এলে সবার আগে ব্যারাকপুরের এই বিখ্যাত বিরিয়ানি খাওয়া উচিত। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতায় এসে ব্যারাকপুরের এই বিখ্যাত দোকানে বিরিয়ানি খেতে এসেছিলেন পাক গুপ্তচর সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা। শিয়ালদা স্টেশন, দক্ষিণেশ্বের মন্দির, একাধিক মেট্রো স্টেশনেও ভ্লগ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
তাঁর ইউটিউব চ্যানেল ট্র্যাভেল উইথ জো-এর একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে সৌমিত ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ব্যারাকপুরের এক দোকানের বিরিয়ানি খেতে। সৌমিতের বাবা আসানসোলের এক বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক পার্থপ্রতিম ভট্টাচার্য। বর্তমান পরিস্থিতিতে জ্যোতির ইউটিউব চ্যানেলের একাধিক ভিডিও ভাইরাল হতেই সেখানে দেখা গিয়েছে সৌমিতকেও। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে হরিয়ানার ট্র্যাভেল ভ্লগার জ্যোতি মালহোত্রাকে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার কারণে পাকিস্তানের এজেন্টরা জ্যোতিকে দিয়ে প্রচারমূলক ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করাত। সেই সব ভিডিওতে রয়েছে আটারি-ওয়াঘা বর্ডার পেরনো, লাহোরের আনারকলি বাজার, বাসযাত্রা ইত্যাদি। পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় হিন্দু মন্দির কাটাস রাজ মন্দিরের ভিডিও রয়েছে। ইনস্টাগ্রামের একটি ছবিতে ঊর্দুতে লেখা রয়েছে ‘ইশক লাহোর’। সে দেশের খাবার এবং দুই দেশের সংস্কৃতির পার্থক্যের ভিডিও শেয়ার করেছিলেন জ্যোতি।
শ্রীনগর থেকে বানিহাল যাওয়ার সময় ট্রেন ভ্রমণের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কমিশন এজেন্টদের মাধ্যমে ভিসা পাওয়ার পর ২০২৩ সালে জ্যোতি প্রথম পাকিস্তান সফর করেন। সফরের সময় তিনি নয়াদিল্লিতে পাকিস্তান হাই কমিশনে (পিএইচসি) কর্মরত এক আধিকারিক এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সংস্পর্শে আসেন। শীঘ্রই তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং এহসান তাঁকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা কর্তাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়।