‘যে কোনও দরকারে আমাকে ফোন করবেন’, কাশ্মীরে শহিদ সেনা ঝন্টুর দাদাকে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা- কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানা। তার পর উধমপুরে ভারতীয় সেনা এবং জঙ্গিদের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে সেনা জওয়ান ঝন্টু আলি শেখের। ৬ প্যারা এসএফ-এ কর্মরত ঝন্টুর বাড়ি নদিয়ার তেহট্টের পাথরঘাটায়। শনিবার গ্রামের বাড়িতে ঝন্টুর কফিনবন্দি দেহ আসবে। তার আগে শহিদের পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শুক্রবার ঝন্টুর দাদা নাজিম শেখকে ফোন করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, শহিদের পরিবারের পাশে আছেন। যে কোনও প্রয়োজনে তাঁকে সরাসরি ফোন করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে ঝন্টুর পরিবারের কথা হয়েছে বলে খবর।

ঝন্টুর দাদা নাজিম এবং বৌদি অনিন্দিতা শেখও ভারতীয় সেনায় রয়েছেন। অনিন্দিতা কাশ্মীরে কর্মরত। বস্তুত, তাঁর মাধ্যমেই গ্রামের বাড়িতে বসে ছোট ছেলের মৃত্যুসংবাদ পান বৃদ্ধ বাবা-মা। ঝন্টু বিবাহিত। স্ত্রী ঝুমা এবং তাঁদের দুই সন্তান তনভির এবং রেহানা থাকেন আগরার সেনা ক্যান্টনমেন্টে। স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে সেখান থেকে তাঁরা দিল্লি যান। তাঁরা ফিরে এসেছেন গ্রামের বাড়িতে।

শুক্রবার ঝন্টুর স্ত্রী-সহ পরিবারের সাথে দেখা করতে এসেছিল বিজেপির প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তারা সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে। বিকেলে নিহত জওয়ানের বাড়িতে যান ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এলিট ৬ প্যারা স্পেশ্যাল ফোর্সের হাবিলদার ঝন্টু উধমপুরের বসন্তগড় এলাকায় এনকাউন্টারে অংশ নিয়েছিলেন। সেনা-জঙ্গির গুলি বিনিময়ের সময় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। শুক্রবার জম্মুতে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুটে তাঁকে বিদায় জানানো হয়েছে ভারতীয় সেনার তরফে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *