কলকাতা- আবার অশান্ত কাশ্মীর। পহেলগাঁওতে জঙ্গি হানায় ২৭ জনের মৃত্যু। তবে এই জঙ্গি হামলার পর থেকে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠে গেল। ভারতীয় সেনার নজরদারি থাকে কাশ্মীরের প্রায় সমস্ত এলাকায়। তা সত্ত্বেও কী করে পহেলগাঁওয়ে হামলার ঘটনা ঘটে গেল? প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বলেন, ‘‘আমি একটা ব্যাপার ভেবে পাচ্ছি না, এতক্ষণ ধরে বেছে বেছে মারল! যেগুলো আমরা শুনতে পাচ্ছি, দেখতে পাচ্ছি… ওখানে তো অনেক আর্মি ছিল। এমনিতে তো সীমান্ত এলাকা। স্পর্শকাতর এলাকা। যাই হোক, এ সব নিয়ে এখন কথা বলব না।’’
বুধবার বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। ওই হাসপাতালে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ভর্তি রয়েছেন। তাঁকেই দেখতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে বাইরে বেরিয়ে পহেলগাঁওয়ের ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। বলেন, ‘‘আমরা গোটা ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি। আজ মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। সেখানেও বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। কী হয়েছে, না-হয়েছে পরে দেখব। জঙ্গিদের কোনও জাত-ধর্ম হয় না। এরা একটা ক্লাস (শ্রেণি)। এদের ক্ষমাও করা য়ায় না।’’ উল্লেখ্য, এই ভয়ঙ্কর জঙ্গিহানায় প্রাণ গিয়েছে বেহালার সখেরবাজারের বাসিন্দা সমীর গুহ, পাটুলির বাসিন্দা বিতান অধিকারী এবং পুরুলিয়ার ঝালদার বাসিন্দা মণীশরঞ্জন মিশ্রের। আজ সন্ধ্যায় তাঁদের দেহ রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।