পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তরুণ এক পরিযায়ী শ্রমিক। ৭৫ বছর বয়সি ওই বৃদ্ধার দোকানে কাজ করতেন তিনি।
প্রথমে বৃদ্ধাকে খুন করে তাঁর দেহের উপর লাফিয়ে পড়ার ভিডিয়ো রেকর্ড করা। তার পর হাড়হিম করা ভিডিয়োটি পাঠানো হল নিহতেরই আত্মীয়কে। সব শেষে দেহটি ঝুলিয়ে দিয়ে এলাকা ছেড়ে চম্পট দিলেন খুনি। সম্প্রতি হায়দরাবাদের কুশাইগুড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। ভিডিয়োর সূত্র ধরে অভিযুক্ত তরুণের খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তরুণ এক পরিযায়ী শ্রমিক। ৭৫ বছর বয়সি ওই বৃদ্ধার দোকানে কাজ করতেন তিনি। গত ১১ এপ্রিল অভিযুক্ত তরুণ কুশাইগুড়ায় বৃদ্ধার বাড়িতে যান। প্রথমে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাঁকে খুন করেন, তার পর তাঁর দেহের উপর লাফিয়ে পড়ার ভিডিয়ো করেন। সব শেষে শাড়ি দিয়ে দেহটি বেঁধে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়ে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেন।
সোমবার ভিডিয়োটি নিহতের এক আত্মীয়কে পাঠান অভিযুক্ত। তখনই ঘটনাটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে। তড়িঘড়ি পুলিশে খবর দেওয়া হয়। বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে তালা ভেঙে তাঁর পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, রাজস্থানের বাসিন্দা ওই মহিলার উপর দীর্ঘ দিন ধরেই ক্ষুব্ধ ছিলেন তরুণ। সে কারণেই তাঁকে খুন করেছেন তিনি। পুলিশের দাবি, জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছেন, পান থেকে চুন খসলেই তাঁকে মারধর করতেন বৃদ্ধা। সেই রাগ থেকেই তিনি বৃদ্ধাকে খুনের সিদ্ধান্ত নেন। তবে খুনের নেপথ্যে আরও কোনও কারণ রয়েছে কি না, সে সব তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, অভিযুক্ত আদতে নাবালক। তাঁর বয়স আদতে কত, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।