কলকাতা: মোবাইলে অশ্রাব্য ভাষায় বোলপুর থানার আইসিকে হুমকি। তার পরই বিতর্কে জড়িয়েছেন বোলপুরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। আইসি-কেষ্টর কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। পুলিশ সেই অডিও ক্লিপিং-এর ভিত্তিতে অনুব্রতর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে।
২টি জামিন অযোগ্য-সহ মোট চারটি ধারায় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় বোলপুর থানায়। তাঁকে নোটিস পাঠিয়ে শনিবার থানায় তলব করা হয়। শনিবার সেই হাজিরা এড়ালেন অনুব্রত। বোলপুর এসডিপিও অফিসে তিনি পাঠিয়েছেন তাঁর ৫ আইনজীবীকে। সূত্রের খবর, সিউড়ি মহকুমা আদালত কিংবা কলকাতা হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারেন কেষ্ট।
বৃহস্পতিবার রাতে বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগ ওঠে অনুব্রতের বিরুদ্ধে। দু’জনের কথোপকথনের সেই অডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয় শোরগোল। শুক্রবার সেই অডিওর ভিত্তিতে অনুব্রতর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ২টি জামিন অযোগ্য-সহ মোট চারটি ধারায় মামলা দায়ের হয়। তাঁকে নোটিস পাঠিয়ে শনিবার বেলা ১২টার মধ্যে এসডিপিওর অফিসে তলব করা হয়। কিন্তু এদিন হাজিরা দেননি অনুব্রত।
এদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের অডিও ভাইরাল হতেই কেষ্টর বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেয় তৃণমূল। ৪ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়। ক্ষমা না চাইলে শোকজও করা হতে পারে। দলের তরফে নির্দেশ পাওয়া মাত্রই সময় নষ্ট করেননি বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। সঙ্গে সঙ্গে চিঠি লিখে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন অনুব্রত।