বেঙ্গালুরু – আরসিবির আইপিএল জয় উদযাপনকে কেন্দ্র করে পদপিষ্ঠের ঘটনা ঘটেছে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে শিশু সহ কমপক্ষে ৭ জনের। জখমও হয়েছেন অনেকে।
বাইরে ভয়ানক পরিস্থিতি থাকলেও স্টেডিয়ামের ভেতরের চিত্রটা কিন্তু ছিল একদম উলটো। এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও আইপিএল ট্রফি নিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অব্যাহত ছিল চিন্নাস্বামীর ভেতরে । যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। যদিও কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার দাবি করেছেন, পদপিষ্টের ঘটনার জেরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছিল।
এদিন প্রথমে কর্ণাটকের বিধান সৌধ থেকে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম পর্যন্ত হুডখোলা বাসে বিজয় শোভাযাত্রা করার কথা ছিল আরসিবির। কিন্তু তীব্র যানজটের আশঙ্কায় এবং নিরাপত্তার কারণে তাতে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তার পরিবর্তে জানানো হয়, বিধান সৌধ থেকে সরাসরি চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পৌঁছে যাবে আরসিবি। সেখানেই এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে দল। সেই সঙ্গে বলা হয়, শুধুমাত্র বৈধ পাস বা টিকিটধারীদেরই প্রবেশাধিকার থাকবে স্টেডিয়ামে। ফলে স্টেডিয়ামের বাইরেই ভিড় জমিয়েছিলেন হাজার হাজার দর্শক। প্রিয় দলের সাফল্য উদযাপনের উত্তেজনা দ্রুত বিশৃঙ্খলায় রূপ নেয়। পুলিশকে ভিড় নিয়ন্ত্রণে হালকা লাঠিচার্জ করতেও দেখা যায়। এরপরই ধাক্কাধাক্কির মধ্যে পদদলিত হন বহু মানুষ।
পদপিষ্টের ঘটনার সময় কোহলিদের কর্ণাটক বিধানসভায় সংবর্ধনা জানানো হচ্ছিল। এই পরিস্থিতির মাঝেই দল স্টেডিয়ামে এসে পৌঁছালে শুরু হয় অনুষ্ঠান। তাঁদের পাশে থাকার জন্য সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান বিরাট, রজত পাতিদাররা। পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত্যুর কথা স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছিলেন কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার। তিনি স্টেডিয়ামে যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে পৌঁছেই তিনি চলে গেলেন বিরাটদের অনুষ্ঠানে।