কলকাতা-পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বাবার। শরীরের উপর দিয়ে চলে যায় পাথর বোঝাই ডাম্পার। দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। রাস্তার পড়ে থাকা বাবার সেই দেহাংশ ছেলেকে দিয়ে পুলিশ তুলিয়েছে বলে অভিযোগ। পূর্ব বর্ধমানের গুসকরার ঘটনা।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাত আটটা নাগাদ গুসকরা বাস টার্মিনাসের কাছে ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হয় প্রদীপ কুমার দাস(৬৩) নামে এক বৃদ্ধের। পেশায় লটারির টিকিট বিক্রেতা ছিলেন তিনি। বাড়ি গুসকরা পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের শিরীষতলায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ছেলে সুদীপ দাস। আসে গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ। সুদীপ দাস জানান, ঝড়বৃষ্টির পর বাবা রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই সময়ে পিছন দিক থেকে একটি ডাম্পার তাঁকে ধাক্কা মারে। বাবা ডাম্পারের নীচে পড়ে গেলে শরীরের উপর দিয়ে ডাম্পারের চাকা চলে যায়। দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।
সুদীপের অভিযোগ, ‘পুলিশ আমাকে রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা বাবার দেহের টুকরো তুলতে বলে। আমি দেহাংশ রাস্তা থেকে তুলে দিই।’ জানা যায় প্রদীপ কুমার দাসের কোনও দোকান ছিল না। তিনি গুসকরা শহরে ঘুরে ঘুরে লটারির টিকিট বিক্রি করতেন। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার সায়ক দাস বলেছেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।