কলকাতা- ‘ওরা বলেছিল মোদিকে বলতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আমাদের সেনা যোগ্য জবাব দিয়েছে।’ ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে এমনটাই বললেন পহেলগাঁও হামলায় স্বামীকে হারানো সদ্যবিবাহিতা যুবতী হিমাংশী নারওয়াল। ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ২৫ পর্যটক সহ ২৭ জন। ধর্মীয় পরিচয় জেনে বেছে বেছে জঙ্গিরা পর্যটকদের খুন করেন বলে জানান সেখানে উপস্থিত নিহতদের পরিবারের লোকেরা। সেই পহেলগাঁও হামলার মুখ হয়ে উঠেছিলেন মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে স্বামীর নিথর দেহ আঁকড়ে বসে থাকা সদ্যবিবাহিত যুবতী হিমাংশী।
প্রয়াত নৌসেনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিনয় নরওয়ালের স্ত্রী বলেন, ‘আমি ওদের বলেছিলাম মাত্র ৬ দিন আগে আমার বিয়ে হয়েছে, দয়া করে ছেড়ে দিন। ওরা বলেছিল মোদির কাছে গিয়ে দয়া ভিক্ষা করো। আজকে মোদিজি এবং আমাদের সেনা ওদের যোগ্য জবাব দিয়েছে। আমরা ২৬টি পরিবার সেদিন যা যন্ত্রণা পেয়েছিলাম, সেই যন্ত্রণা আজ সীমান্তের ওপারেও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’
হিমাংশী আরও বলেন, ‘আমার স্বামী প্রতিরক্ষা বাহিনীতে ছিলেন। তিনি শান্তি রক্ষা করতে চেয়েছিলেন, নিরীহ মানুষের জীবন রক্ষা করতে চেয়েছিলেন। তিনি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন যে এই দেশে কোনও ঘৃণা এবং সন্ত্রাস যেন না থাকে। আমি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ। কিন্তু আমি তাঁদের অনুরোধ করছি, তাঁরা এটি এখানেই যেন শেষ না করে। আমি চাই তাঁরা নিশ্চিত করুক, যে এটি আমাদের দেশে সন্ত্রাসবাদের অবসানের কেবল শুরু।’
পহেলগাঁওতে নিহত সন্তোষ জগদলের কন্যা অশ্বরী জগদল বলেন, ‘আনন্দে কাঁদছি! অবশেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিশোধ নিয়েছেন। যেভাবে অভিযানের নামকরণ করা হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’, তাতে আমাদের চোখের জল বাঁধ মানছে না। যে বোনেদের সিঁথির সিঁদুর জঙ্গিরা মুছে ফেলেছিল, তাদের স্বস্তি দিয়েছে ভারত।’ কেরলের কোচির বাসিন্দা নিহত এন রামচন্দ্রনের মেয়ে আরতি মেনন বলেন, ‘আমাদের ক্ষতি অপূরণীয়। তবে আজ আমরা গর্বিত। দু’হাত জোড় করে মোদিকে ধন্যবাদ জানাই।’