কলকাতা – ২০ রানে গিলের গুজরাতকে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে হার্দিকের মুম্বই। সেখানে তাদের সামনে পাঞ্জাব কিংস।
এদিন প্রথমে ব্যাট করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স করে ৫ উইকেটের বিনময়ে ২২৮ রান। জবাবে ব্যাট করে গুজরাটের ইনিংস শেষ হয় ২০৮ রানে। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে গুজরাত টাইটানসকে ছিটকে দিয়ে আইপিএল ২০২৫-এর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নেয় পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
মুলানপুরের স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া। গুজরাটের বিরুদ্ধে আসল ম্যাচেই জ্বলে উঠলেন রোহিত শর্মা। হিটম্যানের ৮১ রানে বড় স্কোর খাড়া করল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। শুধু রোহিতই নয়, এদিন ভালো ব্যাট করেছেন বেয়ারস্টো, সূর্য, তিলক বর্মারা।
এদিন প্রথমে ব্যাট করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স করে ৫ উইকেটের বিনময়ে ২২৮ রান। এদিন প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাট করতে শুরু করেন রোহিত। রোহিতকে দেখে মনে হচ্ছিল শতরান করবেন। তবে ফিরে গেলেন ৮১ রানে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ওভারে তাঁর ক্যাচ ফেলে গুজরাত। সেই সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগান মুম্বইয়ের প্রাক্তন অধিনায়ক।
প্রসিদ্ধ, মহম্মদ সিরাজ, জেরাল্ড কোয়েৎজি থেকে রশিদ খান, কেউই থামাতে পারেননি রোহিতের ব্যাট। শেষে তাঁকে ফেরান রশিদ। রায়ান রিকেলটনের বদলে দলে সুযোগ পাওয়া বিদেশি জনি বেয়ারস্টো তাণ্ডব দেখালেন ২২গজে।
চতুর্থ ওভারে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণকে তিনটি ছয় এবং দু’টি চার মেরে ২৬ রান। আগাগোড়া চালিয়ে খেললেন ইংরেজ ব্যাটার। অল্পের জন্য তাঁর হাফ সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়। ২২ বলে ৪৭ করে দলের ভিতকে শক্ত করে সাজঘরে ফেরেন এই ইংরেজ ব্যাটার। ২০ বলে ৩৩ করে আউট হন সূর্য। তিলক বর্মা করেন ১১ বলে ২৫। শেষ ওভারে কোয়েৎজিকে তিনটি ছয় মারলেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৯ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকলেন তিনি।
এদিন ঝড় তুললেন সাই সুদর্শন। তাঁর ব্যাটে ভর করেই গুজরাট এদিন স্বপ্ন দেখেছিল ম্যাচ জয়ের। কুশল মেন্ডিস ঝোড়ো শুরু করেও অদ্ভুতভাবে হিট উইকেট হয়ে ফিরলেন। কিন্তু সুদর্শনকে সঙ্গ দিলেন ‘সুন্দর’ ওয়াশিংটন (৪৮)। ট্রেন্ট বোল্টের মতো বোলারকে নিয়ে রীতিমতো ছিনিমিনি খেললেন। হার্দিকও যথেষ্ট রান দিলেন।
সেই মুহূর্তে বুমরাহকে বোলিংয়ে আনতেই ঘুরে গেল খেলা। ৮০ রান করে এদিন আউট হন সুদর্শন। একটি ছয় মারলেও তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১০টি চার। সুদর্শন ফিরতেই রানের গতিতে ভাটা আসে। তার মধ্যে বুমরাহর শেষ ওভারে আসে মাত্র ৯ রান। শেষ দু’ওভারে দরকার ছিল ৩৮ রান। সেটা করতে পারল না গুজরাত।