কলকাতা- দুষ্কৃতীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল মালদা তৃণমূলের সহসভাপতি তথা ইংরেজবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকারের। দলে দীর্ঘদিনের সহকর্মীর করুণ পরিণতিতে তাঁর বাড়িতে ছুটে এসেছিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা তখনই দুলাল সরকারের স্ত্রী চৈতালি সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে জানিয়েছিলেন, দুলালের অসমাপ্ত কাজ শেষ করবে চৈতালি। এবার সেই চৈতালিকেই মালদায় দলের চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব দিল তৃণমূল। বর্তমানে চৈতালি ইংরেজবাজার পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। পাশাপাশি তিনি শিশু কল্যাণ সমিতির সদস্যও। এর আগে মালদা তৃণমূলের চেয়ারম্যান ছিলেন রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। কিন্তু সমরবাবুর বয়স হয়েছে। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতাও রয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার দায়িত্বে চৈতালি সরকারকে আনা হল বলে মনে করা হচ্ছে।
২ জানুয়ারি দুষ্কৃতীরা গুলি করে খুন করে দুলাল সরকার ওরফে বাবলাকে। তদন্তে উঠে আসে তৃণমূলের দ্বন্দ্বেই খুন হয়েছেন দুলাল সরকার। ঘটনায় মূল চক্রী হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয় তৃণমূলেরই মালদা শহর সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি ও এবং এক সময়ের বাম নেতা স্বপন শর্মাকে। গ্রেপ্তার হয় আরও অনেকে। সেই সময় জেলা তৃণমূলের নেতারা অনেকেই জানিয়েছিলেন, দুলাল খুনের পেছনে বড় মাথা আছে। যদিও বড় মাথা আর কে তা এখনও জানা যায়নি।