মাঝআকাশে ভয়ঙ্কর দুর্যোগ, ‘নাক’ ভেঙে শ্রীনগরে নামল বিমান! বরাতজোরে বাঁচল তৃণমূলের প্রতিনিধিদল

কলকাতা- দিল্লি থেকে শ্রীনগর যাওয়ার পথে মাঝ আকাশে ঝড়বৃষ্টির কবলে পড়ে ইন্ডিগোর বিমান। দুর্যোগের কারণে বিমানে তীব্র ঝাঁকুনি শুরু হয়। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। যদিও পাইলটের তৎপরতায় শ্রীনগরে নিরাপদভাবেই অবতরণ করে বিমানটি। কিন্তু নামার সময় বিমানটির সামনের দিকের কিছুটা অংশ ভেঙে যায়।

বুধবার সন্ধ্যায় ২২৭ জন যাত্রী নিয়ে দিল্লি থেকে শ্রীনগরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল ইন্ডিগোর বিমান। গন্তব্যস্থলের কাছাকাছি পৌঁছতেই শুরু হয় তুমুল শিলাবৃষ্টি। বিমানের গায়ে অবিরাম শিলাবৃষ্টি আঘাত করতে থাকায় প্রচন্ড কাঁপতে থাকে সেটি। পরিস্থিতি খারাপ দেখে পাইলট এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। শ্রীনগর বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ উড়ানটি। গোটা ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিমানের ভেতরে থাকা এক যাত্রী সেই ভিডিও করেছেন। যাতে দেখা যাচ্ছে, শিলাবৃষ্টির আঘাতে প্রবলভাবে কাঁপছে গোটা কেবিন। চারদিক থেকে শোনা যাচ্ছিল যাত্রীদের আতঙ্কের চিৎকার, কান্না।

বুধবার ওই বিমানের যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কাশ্মীরগামী ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলও। বরাত জোরে প্রাণে বেঁচেছেন তাঁরাও। ইন্ডিগোর তরফেও বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে যে, যথাযথ প্রোটোকল মেনেই বিমানটি শ্রীনগর বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করেছে। সমস্ত বিমানকর্মী এবং ২২৭ জন যাত্রীরা সকলেই নিরাপদে রয়েছেন। তবে বিমানটি যথেষ্ট পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে সেটিকে ‘এয়ারক্রাফ্ট অন গ্রাউন্ড ঘোষণা করে জরুরি মেরামতের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সেই বিমানে ছিলেন তৃণমূলের পাঁচ প্রতিনিধিও। রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুইয়া এবং রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, মমতাবালা ঠাকুর, নাদিমুল হক ও সাগরিকা ঘোষ। বিমানের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে সাগরিকা ঘোষ বলছিলেন, “প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলাম। আমার মনে হয়েছিল, জীবনটা বোধহয় শেষ। যে পাইলট আমাদের নামালেন তাঁকে স্যালুট। নামার পর দেখলাম বিমানের নাক ভাঙা।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *